নলছিটি প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠির নলছিটিতে দেবরের বিরুদ্ধে জমি দখল, সন্ত্রাসী হামলা ও ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছে এক নারী। শনিবার সকালে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে নান্দিকাঠি গ্রামের পারভিন বেগম এ অভিযোগ করেন। ওই নারীর বসতঘরের পাশে তারকাটা ও টিন দিয়ে আটকে দিয়েছেন দেবর রুহুল আমিন হাওলাদার। এতে তাঁর পরিবার রান্নাঘর, পাশের পুকুর ও পায়খানায় যেতে পারছেন না। বিষয়টি থানা পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পারভিন বেগমের ভাসুর (রুহুল আমিনের ভাই) মো. মোর্শেদ হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তাঁর শ্বশুরের দুই বিয়ে। প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর এক ছেলে রুহুল আমিন ও ছয় মেয়ে আছে। রুহুল আমিন একজন সার্ভেয়ার। পরিবারের জমিজমার প্রতি তার লোভ লালসা রয়েছে। পৈত্রিক সম্পত্তি সে একাই ভোগ দখল করে থাকার চেষ্টা করছে। শ্বশুর জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর স্বামীকে ঘর তোলার জন্য জমি দেখিয়ে দেন। ওই জমিতে ঘর তুলে পরিবার নিয়ে ৩০ ধরে বসবাস করছেন তারা। সম্প্রতি টিনের ঘর ভেঙে একটি পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কিন্তু তাঁর দেবর রুহুল আমিন ঘর তুলতে বাঁধা দিচ্ছেন। ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী এনে তাদের ওপর হামলাও করেছেন রুহুল আমিন। এমনকি উল্টো তাদের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় একটি মামলা করেন। এতে তাঁর ভাসুর ও স্বামীসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। নির্যাতনের শিকার হয়ে পারভিন বেগম থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি। থানার এএসআই সুব্রত চন্দ্র রায় থানা থেকে তাদের চলে যেতে বলেন। সুব্রতকে প্রতিপক্ষরা যখনই ফোন করে, তখনই সে বাড়িতে এসে তাদের হয়রানি করে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও থানা পুলিশ রুহুল আমিনের কথায় চলে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে তিনি ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন পুলিশ সুপারের কাছে। এ ব্যাপারে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমাদের সম্পত্তি এতোদিন তারা জোর করে ভোগ দখল করে আসছিল। আমার ভাগ্নেকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এখন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাদের উল্টো হয়রানি করছেন ভাবি ও আমার সৎভাই।
Leave a Reply